আল-মারুফ, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জুলাই। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির এক সূত্রে জানা যায়, রাবির দর্শন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এহসানুল আলম একজন ভর্তি পরীক্ষার্থী।
তবে নিয়মানুসারে সন্তান বা পরিবারের কেউ ভর্তিচ্ছু থাকলে পরীক্ষা কমিটিতে থাকতে পারেন না সংশ্লিষ্ট শিক্ষক। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও আইন বিভাগের শিক্ষক সাদিকুল ইসলাম সাগর বলেন, “এক্ষেত্রে নিয়ম হলো যদি পরীক্ষা কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট কারো ফাস্টব্লাডের বা ছেলেমেয়ে, ভাইবোন ভর্তিচ্ছু থাকেন সেক্ষেত্রে তিনি আবেদন করে অব্যাহতি নিবেন। তিনি প্রশ্ন করা, খাতা দেখা, হল পরিদর্শন এধরণের কোনো দায়িত্বে থাকবেন না।”
ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এহসানুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ, বি ও সি এই তিনটি ইউনিটের ভর্তি ফর্ম তুলেছেন। এই তিনটি ইউনিটের তার ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের কপি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। প্রবেশপত্রে দেখা যায় যে, পরীক্ষার্থীর বাবার নাম লিখা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এবং মায়ের নাম মোছাঃ তাহমিনা ইয়াসমিন। প্রবেশ পত্রের ছবিটি প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলমের ছেলের ছবি তা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক নিশ্চিত করেছেন।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানলেও ভর্তি পরীক্ষা কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়নি প্রফেসর জাহাঙ্গীরকে। যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও নীতি বহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন কয়েকজন শিক্ষক।
পরীক্ষা কমিটিতে রয়েছেন এমন একজন শিক্ষক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, “পরীক্ষা কমিটির সমন্বয়ক ও প্রশাসনকে মৌখিকভাবে তারা জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বরং বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছে প্রশাসন।”
তবে প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম ভর্তি পরীক্ষা কমিটিতে থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “আমি কোনো কমিটিতেও নাই এবং কাজের মধ্যেও নাই।”
এবিষয়ে জানতে চাইলে এ ইউনিটের ভর্তির পরীক্ষা কমিটির কো-অর্ডিনেটর এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. মো. ইলিয়াস হোসাইন বলেন, “আমরা নিয়মের মধ্যে থেকেই সবকিছু করছি, জাহাঙ্গীর আলম এ, বি, সি এবং ডি ইউনিটে নিয়মের মধ্যে থেকেই কাজ করছেন।”
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটে (মানবিক) চূড়ান্ত আবেদনকারীর সংখ্যা ৬৭২৩৭ জন, ‘বি’ ইউনিটে (বাণিজ্য) ৩৮৬২১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) ৭২৪১০ জন। ৩ টি ইউনিটে সর্বমোট আবেদনকারীর সংখ্যা ১৭৮২৬৮ জন।
এ বছর শুধু এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার পূর্ণমান ১০০, সময় থাকবে ১ ঘণ্টা এবং পাশ নম্বর থাকবে ৪০। আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ জুলাই এই তিন দিনব্যাপী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.